স্বপ্নের রাজ্যে আর যাওয়া হলো না

কষ্ট (জুন ২০১১)

junaidal
  • ৪৫
  • 0
  • ৬৩
বাবা মারা যাবার ৩০ বছর বয়সে অলি বিয়ে করে। ৪০ বৎসর বয়সে অলি ৫ সন্তানের বাবা হয়। মধ্যবিত্তের অধিকারী অলি। ৫ সন্তান হওয়ার পর সংসারের খরচ স্বাভাবিকত বেড়ে যায়। প্রথম বড় ছেলে পলাশ সিলেটে পড়ালেখা করে। তার সাথে থেকে দ্বিতীয় ছেলে আকাশ পড়ালেখা করে সিলেটেই। বোনদের বড় আয়েশা। সে বাড়ীর অদূরে একটি আলিয়া মাদ্রসায় পড়ে। তার সাথে তার ছোট বোনটি ফাহিমাও। সবার ছোট ভাই রাজু বয়স কম হওয়র কারণে বাড়ীতেই থাকে। তবে প্রাইমারী স্কুলে ভর্র্তি না হলেও গণশিক্ষার প্রাক-প্রাথিমক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নামে মাত্র আসা-যাওয়া করে। এদের সবার পড়ালেখার খরচ যোগাতে বাবা অলির হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। তার উপর আবার সংসারও চালাতে হয়। এ যেন "আহত পা গর্তে প্রবেশ করার মতই"।

তারপরও অলি তার কর্মজীবনে পিছু হঠার মত মানুষ নয়। সামনে অগ্রসর হয়ে কর্মজীবনে যুদ্ধ করার অব্যর্থ অভিযান ক্রমশ রাখার দৃঢ় অঙ্গিকারাবদ্ধ অলি। অলির রুজি-রুজগারের একমাত্র উপায় সরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করা। পার্শ্ববর্তী একটি প্রাইমারী স্কুলের সহকারী শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন মাত্র। বেতন তেমন বেশী নয়, মাত্র ৫হাজার টাকা। ৫ সন্তানের পড়ালেখার খরচ যোগাতে এবং সংসার চালাতে এই সামান্য টাকা দিয়ে অলি কাটিয়ে উঠতে পারছেন না। এত কষ্টের মধ্য দিয়েই চলছে অলির ঘর-সংসার। খুব দুঃখ-কষ্টে কাটছিল অলির জীবনযাত্রা। সংসার জীবনে অশান্তির ছায়া যেন নেমে আসছে।

কিন্তু অলি আরো বড় হতে চায়। তাই তো অলির মন ছিল আশার বড় বাসা। আর আশা মানেই জীবন, জীবন মানেই আশা। যার আশা নেই, তার জীবন মূল্যহীন। মানুষ সুখ চায়, আশা করে সুখের।

কারণ, অলি কবিতার এই অংশটা ভাল করেই জানতো যে,
"সংসার সাগরে দুঃখ তরঙ্গের খেলা,
আশার তার একমাত্র ভেলা"

জীবনের বিপ্লব ঘটাতে অলি কি না করেছে। অলি ভাগ্যের বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটাতে চায়। কর্মজীবনের ফাঁকে ফাঁকে সময়ে-সুযোগে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত লটারীর টিকেট কিনত অলি। অলির অভিপ্রায় ছিল কোনমতে যদি ঘোষিত লটারীর ৪০লাখ টাকা পেয়ে যাই, তাহলে জীবনের চাকা ঘুরে যাবে। বদলে যাবে দুঃখের দুর্দিন। কষ্টসব সুখের বন্যায় ভেসে যাবে। অলি প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পর থেকেই লটারীর টিকেট কেটে আসছিল। অলির বয়স এখন ৫০-এর কোঠায় এসে পৌছেছে। যা ও লটারীর ড্র-র দিনে নিজের টিকেটটা মিলাতে গিয়ে দেখে টিকেটের সব নম্বর মিলে গেছে, কিন্তু শেষের নম্বরটা আর মিলে নি। তখন দুঃখের আর সীমা রইল না। অলির জীবনে লটারীর নম্বর আর কোনদিন একটা নম্বরও মিলে নি। অলি লটারীর ঘোষিত ৪০লাখ টাকাও পায় নি, আর জীবন নামের পুরনো চাদরটাও বদলাতে পারে নি। অলি কি পারবে তার জীবনের সুখ আনতে? পারবে তার সংসারের এই কঠিন দূরাবস্থা দূর করতে? অসহ্য জীবনকে পারবে অলি জয় করতে? এতটা বছর অলি আশায় আশায় কাটিয়ে দিল। নৈরাশ হলো না। অলি আজো নৈরাশ নয়। তারপরও অলি টিকেট কাটতে কোনদিন ভুল করে নি। কাটছে, আজো কাটছে। ভবিষ্যতেও কাটবে। কাটতে থাকবে। অলি বুকে দৃঢ় আশা নিয়ে আজো স্বপ্ন দেখছে জীবনটাকে পুলকিত এবং আলোকিত করতে।

অলি একদিন কোন এক কাজের জন্য শহরাঞ্চলে যায়। শহরে পৌছার পর এদিক-সেদিক তাকিয়ে হাটতে আছে অলি। হঠাৎ অলি একটি বিজ্ঞাপন দেখতে পায়। বিজ্ঞাপনটিতে "ডিভি লটারীর ফরম পূরণ করা হয়" লেখা দেখে অলি ঐ দোকানটিতে ঢুকে পড়ে। এবং ডিভি সংক্রান্ত বিষয়টি বোঝার জন্য নানান প্রশ্ন করে অলি। ডিভি লটারীর মাধ্যমে বিজয়ীদের আমেরিকা যাওয়ার সুযোগ হয় সেই সম্পর্কে দোকানধার অলিকে জ্ঞান দেয়। অলি আলোচনা করে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়। তৎক্ষনাত অলি দোকানধারকে বলে ফরম পূরণকরতে কত টাকা লাগ। দোকানধার ৩০ টাকা লাগে বলে জবাব দেয়। অলি মহানন্দে বলে মাত্র ৩০ টাকা? তাহলে আমি একটা ডিভি ফরম পূরণ করব। তারপর অলি স্বপ্নের রাজ্যে আমেরিকা যাওয়ার অভিপ্রায় নিয়ে একটা ডিভি ফরম পূরণ করে। দোকানধার ডিভি ফরম পূরণ করে অলিকে রিসিভ কপি প্রদান করে।

ডিভি লটারীর টিকেট কেটে অলি বাড়ীতে ফিরে আসে। আনন্দে আত্নহারা হয়ে অলি এই ডিভি লটারীর রিসিভ কপিটা তার পরিবারের সবাইকে দেখায়। অলি তাও বলে যদি আমার লটারী লাগে আর আমি বিজয়ী হই, তাহলে আমি ও আমার পরিবার সবাই সূদুর স্বপ্নের রাজ্যে পাড়ি জমাতে পারব। অলি তার সুশ্রী স্ত্রী হালিমাকে বলল এই রিসিভ কপিটা হেফাজতে রেখে দাও। আগামী বৎসরের মে মাসে ফলাফল ঘোষণা করা হবে, তখন প্রয়োজন পড়বে। এখন রেখে দাও। দেখো, কোন পোকা-মাকড়ে যাতে স্পর্শ করে নষ্ট না করতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখবে। স্বামীর কথামত হালিমা তার মুল্যবান ডিভি লটারীর রিসিভ কপিটা সংরক্ষন করে সিন্দুকে রেখে দেয়। তখন ছিল ২০০০ সাল।

২০০১ সালের মে মাসে লটারীর ফলাফল ঘোষণা হবে । আর আমেরিকা যাওয়া হবে আগামী বৎসরের প্রথম মাসে। সব কিছুর পরও অলি এই আমেরিকা যাবার ডিভি লটারীর রিসিভ ফরমের ফলাফলের জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনছে। অলি এর ভেতরে স্কুলের শিক্ষকতার সব কার্যক্রম সুচারুরুপে পালন করে যাচ্ছে। এই স্কুলের সব শিক্ষকদের মাঝে অলি যেমন সৎ, সত্যাবাদী তেমনি নিষ্ঠাবান। এর পাশাপাশি তিনি একজন সাহিত্যি,কবি এবং ছোটদের জন্য মজাদার গল্পকারও। তাছাড়াস্কুলের সকল দুর্নীতির প্রতিবাদ করে এই স্কুলের সাধারণ শিক্ষক অলি। স্কুলের হেড মাষ্টার হেড হলেও তার অন্তর ছিল দুর্নীতিতে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। এই কারণে সহকারী শিক্ষক অলির শিক্ষকতা করতে কষ্ট হত। তাকে বিভিন্ন ঝায়-ঝামেলায় ফেলত হেড মাষ্টার। কিন্তু সত্যের জয় নিরঙ্কুশ এটা হয়তো হেড মাষ্টার জেনেও না জানার ভান করে মিথ্যের আশ্রয় নিত সে। অলি তার কর্মজীবনে কোনদিন অন্যায় করে নি এবং কাউকে অন্যায় কাজ করতে সাহায্যও করে নি। এটা অলির গুন, তা এই এলাকার সর্বজনীন স্বীকৃত। সামাজিক প্রতিকুল পরিস্থিতিতে বসবাস করা অলির জীবন নাভিশ্বাস হয়ে উঠছে ।

দেখতে দেখতে ২০০১ সালের মে মাস এসে গেল। আগামীকাল মে মাসের প্রথম দিন। এই দিন ডিভি লটারীর ফলাফল প্রকাশ পাবে । অলি আগে থেকেই স্ত্রী হালিমাকে ফরমটি বের করে রাখার কথা মনে করিয়ে দিল। হালিমা চৌকান্ন রমনী। আগে থেকেই এটাকে পরিস্কার আগলে তুলে রেখেছিল। সে জানে আগামীকাল মে মাসের প্রথম দিন।

সন্ধ্যা ঘনিয়ে রাত গভীরতাকে আলিঙ্গন করছে। এদিকে, অলির রাতে আর ঘুম হচ্ছে না। "যদি লাইগ্যা যায়" মনে মনে এই কামনা করে ঘুমানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু অলির তো দুই নয়নে ঘুম আসছে না। রাত তিনটার দিকে অলি গভীর ঘুমে নিমগ্ন। এদিকে, অলি ঘুমে স্বপ্ন দেখছে। মাস দিন বার সময় সব মিলিয়ে শুভলক্ষণ। দেখছে অলি স্বপ্নের রাজ্য আমেরিকায় স্বপরিবারে চলে যাচ্ছে। স্বপ্ন দেখতে দেখতে রাত শেষ। একটু পরে ফজরেরর আযান মসজিদ প্রান্ত থেকে ভেসে আসে আযানের সুমধুর ধ্বনি। এই সময় অলি ঘুম থেকে উঠে যায়। ফজরের নামাযের প্রস্তুতি হিসেবে অজু করে এবং আযান শেষে জামাতের সাথে নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে যায়। নামাজ শেষে অলি স্বপ্নে দেখার কথা মনে করে আল্লাহর নিকট প্রার্থণা করে।

পরে বাড়ীতে ফিরে । এসে মহানন্দের সাথেস্বপ্নের সংবাদটা পরিবারের সবাইকে জানায়। স্ত্রী হালিমা এবং অলির সন্তানেরা এই স্বপ্ন শুনে আনন্দে আত্নহারা। মনে প্রফুল্লতা দেখা দিয়েছে। তারপর ফলাফল জানার অলি এই কাটা লটারীর ফরমটি নিয়ে শহরে যাবার উদ্দ্যেশে প্রস্তুতি গ্রহণ করে। সব প্রস্তুতি গ্রহণ করার পর অলি শহরের উদ্দ্যেশে রওয়ানা হয়। দুপুর ১টায় অলি শহরে পৌছে। পূর্বে যাওয়া দোকানটিতে অলি আসে এবং রিসিভকৃত কপিটা দিয়ে ডিভি লটারীর ভাগ্য যাচাই করে। পরে চেক করে দেখা গেল অলি ডিভি লটারীর বিজয়ীদের একজন। সত্যিই অলির ভাগ্য ভাল।

মনের আনন্দে এবং হাস্যোজ্জ্বল চেহারা নিয়ে বাড়ীতে আসলে সবাই বুঝতে সক্ষম হয় অলি নিশ্চই বিজয়ীদের একজন হয়েছে। অলি মাথা নেড়ে তাদের পূর্বাভাসকে সায় দেয়। পরে এই আনন্দের খুশিতে বাড়ীতে একটা সার্বজনীন পার্টির আয়োজন করে এবং সবাইকে আমন্ত্রণ করে আপ্যায়ণ করে অলি। আমেরিকা যাওয়ার ব্যাপারটা সবাইকে জানান। অলি আমন্ত্রিত সবার নিকট দোয়া প্রার্থনা করে। অলির জন্য সবাই দোয়া করবে বলে সবাই হাত নেড়ে স্বাগত জানায়।

পরে অলির স্বপ্নের রাজ্য আমেরিকা যাবার জন্য সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করতে ঢাকা যেতে হবে। আর মাত্র সাত মাস বাকী। এর ভেতরেই সব কাজ সম্পন্ন করতে হবে। এদিকে, অলি স্কুলে শিক্ষকতার চাকুরীটাও ছেড়ে দেয়। জীবন নির্বাহ করার একমাত্র উপায় ছিল এই স্কুলে চাকুরী করা। অলি সেটাও ছেড়ে দেয়। এখন অলি সম্পূর্ণ চাকুরীমুক্ত হয়ে অবসর। অলির সমস্ত টাকা-পয়সা এই ডিভি লটারীর ভিসার কাজে ব্যয় করার জন্য রেখে দেয়। পরিবারের সবার ছবি তোলে। সিলেটে থাকা পলাশকে ফোনে বলে দেয় ছবি তোলার জন্য। পলাশ তাৎক্ষনিক ছবি তোলে ডাকযোগে বাড়ীতে পাঠিয়ে দেয়।

অলি সবার ছবি, কাগজপত্র এবং সমস্ত টাকা-পয়সা নিয়ে ঢাকার উদ্দ্যেশে রওয়ানা হয়। ভিসার যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করার জন্য একজন দালাল ধরে। দালাল ধরতে অলির প্রায় অনেক টাকা খরচ হয়ে যায়। দালাল বিভিন্ন কলা-কৌশলে অলির নিকট থেকে বিভিন্ন সময়ে টাকা-পয়সা নিয়ে যায় তার খরচের জন্য । অলি টেরও পায় না।

আমেরিকা যাওয়ার সমস্ত কাজ সম্পন্ন করে অলি বাড়ীতে ফিরে আসে। ৬ মাস পর......। এখন ২০০১ সাল। জানুয়ারীর মাসের প্রথম তারিখ অলির স্বপরিবারে আমেরিকা যাওয়ার ফ্লাইট। ডিভি লটারী বিজয়ীদের আমেরিকা নেয়ার কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছে আমেরিকার উক্ত কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তাগণ।

ভিসা লেগে গেছে। টিকেট কেনা হবে একমাস আগে। হঠাৎ শুনা যায় আমেরিকায় বিমান হামলা হয়েছে। গতকাল সন্ত্রাসীরা ১'শ তলা বিশিষ্ট বাণিজ্যিক টুইন-টাওয়ারে বিমান হামলা চালায়। এতে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়। ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ সীমাহীন। এর পাশাপাশি ডিভি লটারীর বিজয়ীদের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় আমেরিকা সরকার । এমনকি বিজয়ীদের নেবে না, সে সিদ্ধান্তটাও পর্যন্ত হয়ে যায়। মানে যারা বিজয়ী হয়েছে তাদের নেয়া হবে না এই পরিস্থিতে। কিন্তু পত্রিকায় এখনো এই সংবাদটা প্রকাশিত হয় নি। বিমান হামলার সংবাদটা পরের দিন খবরের কাগজে শিরোনাম হিসেবে প্রকাশ পায়। হকার আমেরিকায় বিমান হামলা হয়েছে, বিমান হয়েছে বলে পত্রিকা বিক্রি করছে। ঐদিন অলিও বাজারে আসে। হকারের কথা শুনে শিক্ষক অলি হকারকে ডেকে এনে একটি জাতীয় পত্রিকা ক্রয় করে এবং আমেরিকায় বিমান হামলার বিস্তারিত খবরটা পড়ে। অলির মনে একটা ধাক্কা খেল। মনে ভাবল, না জানি কি হয়! একবার নিঃশ্বাস ছেড়ে "যা করে আল্লাহ" এই কথা বলে ইতস্ততবোধ করে বাড়ীতে ফিরে আসে। অলি প্রতিদিন বাজারে না আসলেও আমেরিকার সংবাদ পড়ার জন্য আজ থেকে নিয়মিতই আসছে।

পরে অলি তার পরিবারদের নিয়ে ঢাকায় আসে। ঢাকায় পৌছা মাত্রই অলি একটি জাতীয় পত্রিকা ক্রয় করে এবং সমুহ সংবাদগুলো পড়েন। পত্রিকা পড়া শেষ করার আগ মুহুর্তে অলির চোখে পড়ে "ডিভি লটারীর বিজয়ীদের আমেরিকা যাওয়া বন্ধ"। এই সংবাদটা পড়া মাত্রই অলি জ্ঞানহারা হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তার সাথে থাকা পলাশ বাবাকে আকড়ে ধরে এবং হসপিটালে নিয়ে আসে। কিছু হয়নি বলে ডাক্তার পলাশকে শান্তনা দেয়। পরের দিন বাবাকে বাসায় নিয়ে যেতে পারবেন বলে ডাক্তার পলাশকে জানায়।

তারা পলাশের খালার বাসায় উঠেছে, সেই বাসায় বাবাকে নিয়ে আসে পলাশ। অলি সবাইকে আমেরিকা যাওয়া বন্ধ হওয়ার সংবাদটি শুনায়। পরেরদিন তারা নিরুপায় হয়ে বাড়ীর উদ্দেশ্য রওয়ানা দেয়। রাস্তায় অলি বারবার মুর্চা যাচ্ছিল। ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে স্বপরিবারে অলি নিজ বাড়ীতে ফিরল। অলি বাড়ীতে আসার পরপরই যেন বোবা হয়ে গেছে। কারণ, সরকারী স্কুলের শিক্ষকতার চাকুরীও ছেড়ে দিয়েছিল আমেরিকা যাবে বলে। তাছাড়া হাতের সমস্ত টাকা-পয়সাও এই কাজে খরচ হয়ে যায়। আজ অলির শূন্য হাত। দুঃশ্চিন্তায় অলি ভেঙ্গে পড়ছে। কিভাবে সংসারই চালাই। আর কিভাবে নিজের সন্তানদের মানুষই বানাই। সবকিছু হারিয়ে অলি এখন সর্বস্বান্ত। অলির কষ্ট কে আর দেখে। তারপরও অলি "দুঃখ-কষ্ট মিলিয়ে জীবন" এই কথা ভেবে নিজেকে শান্তনার দেয়ার চেষ্টা করছে। আর বলছে ওহে কষ্ট আমি তোমার মাঝেই বাচতে চাই এবং তোমার মাঝেই আমি সুখে থাকতে চাই।

এতকিছুর পরও অলির কবিতার কয়েকটা লাইন বেশী বেশী মনে পড়ছে। যা ছোট্ট জীবনে পড়েছিল। অলি তা তার বাস্তবে প্রতিফল হতে দেখতে পেল।
"নদীর এ পাড় কহে ছাড়িয়া নিঃশ্বাস
ওপাড়েতে সর্বসুখ আমার বিশ্বাস।
নদীর ওপাড় বসি দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে
কহে, যাহা কিছু সুখ আছে সকল ওপাড়ে"।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
junaidal AMINA আপু দোয়া প্রার্থী।
junaidal ভূঁইয়া বন্ধু দোয়া করবেন আমার জন্য আগামীতে যাতে ভাল করতে পারি।
ভূঁইয়া beshi valo lagenai. lekha aro valo korte hoibo
junaidal obaidul hoque বন্ধু ঠিক বলেছেন। আসলে আমরা অন্যপাড়েই অফুরান্ত সুখ আছে মনে করে সেই পাড়ে পারি দিতে চাই। আসলে আমরা মুর্খ মানব। মুলত সুখ তো তার কাছেই তার নিকটে আছে। খুজতে পাই না। বুঝতে চেষ্টা করি না। জীবনে দুঃখ একটা থাকলে অবশ্য তার সাথে সুখ আরো ২টা থাকে। অর্থ্যাৎ জীবনে দুখের তুলনায় সুখই মানুষের বেশী।
AMINA গল্পের থিম ভাল। বাক্য গঠন ও ভাষা ভাল নয়, ।পড়াশুনার মাধ্যমে এটা কাটিয়ে উঠুন।
ওবাইদুল হক "নদীর এ পাড় কহে ছাড়িয়া নিঃশ্বাস ওপাড়েতে সর্বসুখ আমার বিশ্বাস। নদীর ওপাড় বসি দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে কহে, যাহা কিছু সুখ আছে সকল ওপাড়ে"। ----- তোমার এই চারটি কবিতার বাক্য এত গুলো আলোড়নরের মাত্রা দিয়েছে বলতে গেলে সে অনেক বাক্য । ভাইয়া আসলে আমরা সব সময় যে পারে থাকিনা সে পারের সুখ অনুভব করি । কিন্ত বাস্তবতা টা খুজে পাইনা । সত্যই অসাধারন । ৫ দিলাম । ধন্যবাদ ।
junaidal আনিসুর রহমান মানিক ব্রাদার থ্যাংক্স।
junaidal আশা বন্ধু ধন্যবাদ সুন্দর দিক-নির্দেশনা দেয়ার জন্য।
আশা বাস্তবধর্মী গল্প। তাই ভালো লাগল। পুরো গল্পটাতে বার বার অলি ব্যবহার না করে সর্বনাম ব্যবহার করতে পারতেন। তাছাড়া বাক্য গোছানোতে আরো সতর্ক হলে আপনার লেখাটা আরো বেশি ভালো লাগত।

১৯ জানুয়ারী - ২০১১ গল্প/কবিতা: ২২ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "ছোটবেলা”
কবিতার বিষয় "ছোটবেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪